দেশবাসীর কল্যাণের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত। চালু হচ্ছে একের পর এক জনমুখী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, কৃষক বন্ধু ইত্যাদি একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই কেন্দ্রীয় মোদি সরকার। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর কিষান সন্মান নিধি, বিশ্বকর্মা যোজনা ও সূর্যোদয় যোজনার মতো একাধিক প্রকল্প এনেছেন ভারতের সাধারণ সব মানুষের জন্য।
আজকে আমরা কথা বলব কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান সন্মান নিধি যোজনার বিষয় নিয়ে। ভারতবর্ষ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এককথায় বলা যায় ভারতের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হচ্ছে কৃষিকাজ। তবুও বর্তমান সময়ে অর্ধেকের বেশি কৃষক আর্থিক সমস্যায় একেবারে জজ্জরিত। এই কারণে কৃষকদের সুবিধার্থে কিষান সম্মান নিধি যোজনা চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কৃষকদের কৃষিকাজের জন্য আর্থিক সাহায্য করে পাশে থাকা ।
২০১৯ সালে প্রথমবার নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন । মূলত কৃষকদের এই প্রকল্পের আওতায় আর্থিক সাহায্য করা হয় চাষের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। এই প্রকল্পের সুবাদে কৃষকদের বছরে ৬,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এই অনুদান তিনবার কিস্তিতে দেওয়া হয় ২,০০০ টাকা করে। এই বছরে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেই তিনি এই প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন “আমাদের সরকার কৃষকদের কল্যাণের জন্য সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পরে সই করা প্রথম ফাইলটিই হল কৃষি কল্যাণের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা এবার কৃষক এবং কৃষিজমি নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে চাই”। সবশেষে জানিয়ে রাখি যে দেশের সমস্ত কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন না। শোনা গেছে এই প্রকল্পের আওতায় আসার জন্য কৃষকদের বিশেষ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষদের সাথে ভাগ করে নেবেন । এই ধরনের খবর প্রতিদিন পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।